অবশেষে মারা গেল শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীর পায়ে পচন ধরা মাদ্রাসাছাত্র মো. নাহিদ মোল্লা (১২)। রোববার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নাহিদের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক আলামিনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী উপজেলার বাহিরচর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টুর ছোট ছেলে মো. নাহিদ মোল্লার পায়ে পচন ধরে। এতে তার ডান পায়ের একাংশের মাংস কেটে ফেলার ১২ দিন পর সে মারা যায়।
মো. জাহাঙ্গীর আলম কুট্টু জানান, ছেলেকে কুরআনে হাফেজ বানানোর জন্য গত দেড় থেকে দুই বছর পূর্বে আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করাই।
ছেলে নাহিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, গত কুরবানির ঈদের কয়েক দিন পর মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিন আমার ছেলের ডান পায়ে সজোরে বেত্রাঘাত করে কিন্তু শিক্ষকের ভয়ে আমাকে কিছুই বলেনি। পরে অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়লে গত ৩০ আগস্ট নাহিদকে মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বেত্রাঘাতের জায়গায় ফুলে পচন ধরে যায়। ইতোমধ্যে দুইবার অপারেশন করা হয়। সর্বশেষ পচে যাওয়া মাংস কেটে ফেলা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক মোসাদ্দেক জানান, রোববার শিক্ষার্থী নাহিদ মারা গেছে শুনেছি। তবে মারধরের কারণে নাকি অন্য কোনো রোগের (স্কিন ডিজিস) মারা গেছে বলতে পারছি না!
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অভিযুক্ত শিক্ষক আলামিনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সভাপতি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply