মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ইউপি সচিব ও মেম্বার গর্ভবর্তী ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ভুক্তভোগীর পক্ষে তার দেবর সুজন টিকাদার মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন।উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের সচিব অভিযুক্ত মো. সেলিম মোল্লা ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দেওয়া হয়।জানা যায়, উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের আটকুড়িয়া গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা ঝুমা সরকার গত বছর গর্ভবর্তী কার্ড করার জন্য বলধারা ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস পর পরিষদের সচিব সেলিম মোল্লা ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজাদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে দেখা করতে বলেন। পরে ঝুমা সরকার ও তার দেবর সুজন সচিবের সঙ্গে দেখা করেন। পরে আজাদ মেম্বার গর্ভবর্তী কার্ড করার জন্য সচিবকে ৩ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান। পরে তারা মেম্বারের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে সচিব সেলিম মোল্লাকে ৩ হাজার টাকা দেন। এর কয়েক মাস পর সচিব সেলিম মোল্লা ভুক্তভোগী ঝুমাকে আবারও তার পরিষদে ডাকেন এবং কার্ড করার জন্য আরও ২ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার ভাতার কার্ড হবে না বলে জানায়। এ সময় ঝুমা সরকার ও তার দেবর বাধ্য হয়ে সচিবকে আরও ২ হাজার টাকা দেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার কার্ড না হওয়ায় গত ১৮ এপ্রিল সকালে সচিব ও মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।সেলিম মোল্লা তাদেরকে জানান, ভাতার কার্ডটি পেতে আরও ৭/৮ মাস সময় লাগবে। এ সময় সুজন টাকা ফেরত চাইলে সচিব গড়িমসি করেন। পরে উপান্ত না পেয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সচিব সেলিম মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কার্ড দেওয়ার কেউ না। এটা পরিষদের কমিটির বিষয়।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply