ঢাকার দোহারের শিলাকোঠা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় মো. রেদুয়ান নামের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে বেত্রাঘাতে আহত করেছে মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগের শিক্ষক আশরাফুল। আহত রেদুয়ান উপজেলার চর কুশাই চর গ্রামের প্রবাসী হাসমত শরিফের ছেলে। এ ঘটনায় আহত রেদুয়ানের মা রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার অভিযোগ নং:১৩-৩৮।
আহত রেদুয়ান বলেন, সকালে আমি মাঠ পরিষ্কার করছিলাম পরে দোতলায় আসলে আশরাফুল হুজুর আমাকে বলে তোর বালিশের নিচে ২শত টাকা পেয়েছি। তুই টাকা চুরি করেছিস বলেই আমাকে বেত দিয়ে পেটাতে থাকে।
আহত রেদুয়ানের মা রাজিয়া বেগম বলেন, সকালে মাদ্রাসার হুজুর আশরাফুল আমাকে ফোন দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে বলেন। আমি সেখানে গেলে আমার ছেলে আমাকে দেখে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে। কি হয়েছে জানতে চাইলে আমার ছেলে বলে চুরির অপবাদ দিয়ে রেদুয়ানকে উপর্যুপরি বেত্রাঘাত করেছে মাদ্রাসাটির হেফজ বিভাগের শিক্ষক আশরাফুল। পরে আমি আমার ছেলেকে সেখান থেকে নিয়ে আসি। পরে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাই। আমার ছেলে কোন অপরাধ করলে তারা আমাকে জানাতে পারতো। কিন্তু এভাবে মারল কেন ? আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে শিলাকোঠা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় গেলে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন মোল্লা প্রতিবেদকে বাধা দেন। পরে মাদ্রাসার পক্ষে মুফতি ইমরান হোসেন বলেন, আমাদেরই ছাত্র,আমাদেরই শিক্ষক । যা করার আমরা নিজেরাই করবো।
এ বিষয়ে দোহার থানার ডিউটি অফিসার এসআই মিন্টু লষ্কর বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রেদুয়ানের মা বাদি হয়ে দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply