সোমবার সকালে পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগির ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামের আব্দুল মোতালেব হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৬), সদরের দীঘি ইউনিয়নের ছোট ভাটাবাউর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) ও জেলার দৌলতপুর উপজেলার সদরে চকমিরপুর ইউনিয়নের চকহরিচরন গ্রামের গোলাপ হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে মো. শিশির হোসেন (২০)।পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরবেলায় নিজ ঘরে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জাহিদ হোসেন। জাহিদের প্রেমের বিয়ে হওয়ায় প্রায় দেড় বছর ধরে বাবা, মা, বোনদের সঙ্গে জাহিদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে ভোররাতে নিজ ঘরে সবার অজান্তে গামছা দিয়ে ফাঁস দেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিজ ঘর থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। জাহিদ হোসেন বাসস্ট্যান্ড এলাকার পৌর সুপার মার্কেটের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী ছিলেন। এদিকে সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের ছোট ভাটবাউর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, রাকিবের বাবা না থাকায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ির পাশের একটি গাছে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ রাকিবের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাকিব হোসেন পেশায় একজন পিকআপ চালক ছিলেন।
অপরদিকে জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদরে চকমিরপুর ইউনিয়নের চকহরিচরণ গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে শিশির হোসেনের ঝুলন্ত লাশ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শিশির আত্মহত্যা করে। সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। শিশির হোসেন মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, সদরের দুটি লাশ উদ্ধারের ঘটনা পারিবারিক কলহের জেরে হয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। পারিবারিক কলতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছে।
Leave a Reply