ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রেমসংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে ২০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রাকিব, সোহাগ ও জুবায়েরকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতির থমথম ভাব বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, মুনসুরাবাদ গ্রামের শওকত শেখের পুত্র জুবায়েরের সঙ্গে খাপুরা গ্রামের দেলোয়ার শেখের পুত্র রাকিবের প্রেমসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ৩ দিন আগে ঝগড়া হয়। মুনসুরাবাদ গ্রামের জুবায়ের খাপুরা গ্রামের রাকিবের এক আত্মীয় স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। রাকিব এতে বাধা দেয় এবং জুবায়েরকে খাপুরা গ্রামে আসতে নিষেধ করে।
রোববার বিকালে জোবায়ের খাপড়া গ্রামে তার ডেকোরেটর ভাড়া দেয়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাকিবকে রাস্তায় পেয়ে তার মোটরসাইকেল রাকিবের উপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি হয়। তখন দুজন ২ গ্রামবাসীকে সংবাদ দেন। পরে দুই গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুনসুরাবাদ বাজারে জড়ো হন। উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল নিয়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু করে। সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন লোক আহত হন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এসআই মনির জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানার ওসিসহ আমরা ৩ গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তীতে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply