ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের দাউদপুর ,ছোট কাউনিয়াকান্দি,কান্দাবারিল্যা ও রামনগর এলাকার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালটি ভূমি ব্রিটিশ শাসন আমলে পায়ে হাটার রাস্তা ছিলো। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে কৃষি কাজের স্বার্থে ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে খালটি খনন করা হয়। তখন খালের চওড়া ছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট। পরবর্তী সময়ে খালটি দখল ও দুষনে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে খালটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও প্রাথমিকভাবে খনন কাজ চলমান।
এলাকাবাসীর দাবি, অতি গভীরভাবে খাল খনন করার কাজ চলছে। এভাবে খনন করা হলে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫শ বসতবাড়ির অংশ ভেঙে খালের ভেতর চলে যাবে এমন আশংঙ্কায় রাত ও দিন যাপন করছে তারা। এ অবস্থায় খনন কাজ সমাপ্তের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে বাধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ বারি বাবুল মোল্লা বলেন, খালটির সংস্কার কাজের বিষয়ে তিনি অবগত। সরকারিভাবে খাল খনন করা হচ্ছে। খালটি খনন করা হলে, কৃষির কর্মের প্রসার ঘটানোসহ ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ সহজ হবে। তাছাড়া মৎস্য চাষ ও হাঁস পালনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবে স্থানীয়রা এছাড়া নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত দাউদপুর বাজার সংলগ্ন খালটি বিরাট অংশ প্রভাবশালীরা ভরাট করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এছাড়া অনেকেই আবার দোকান পাট তৈরী করে ভাড়া দিয়েছে।অপরদিকে বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছোট কাউনিয়াকান্দি,কান্দাবারিল্যা ও রামনগর এলাকার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালের বিভিন্ন অংশ কতিপয় প্রভাশালীরা নিজেদের দখলে নিয়ে রাতের আধারে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে মাটি বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক , ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামের এক কৃষক বলেন, খাল কাটার নামে কারো কাছ থেকে যাতে কোন টাকা পয়সা চাপ দিয়ে নেওয়া না হয় এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, খাল খননে কারো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা হবে। কোন সমস্য হলে ভূক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply