ঢাকার নবাবগঞ্জের সরকারি স্থাপনায় হামলার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠককালে পেট্রলবোমা ও হামলার সরঞ্জামাদিসহ ৬ জামায়াত-শিবির নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. আমিনুল ইসলাম রোববার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানা সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- নবাবগঞ্জ থানা পশ্চিমের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও শরীয়তপুর জেলার চর ভোজেশ্বর গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ (৪৯), নবাবগঞ্জ থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও উপজেলার মাঝিরকান্দা গ্রামের আল আমীন তালুকদারের ছেলে সালাউদ্দিন আমান (২৩), থানা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ও উপজেলার পাতিলঝাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শাহরিয়ার মুরসালিন অনিক (২১), থানা ছাত্রশিবিরের সাথী সদস্য ও বক্সনগর গ্রামের আইয়ুব আলী শেখের ছেলে জাকির হোসেন (২১), থানা ছাত্রশিবিরের সদস্য ও উপজেলার যন্ত্রাইল পূর্বপাড়া গ্রামের মান্নান মোল্লার ছেলে তৌফিকুল তাহসিন মাহি (২০), থানা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক ও উপজেলার কলাকোপা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে তামিম ইউসুফ (১৯)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদর কাশিমপুর গ্রামের সামছুল ইসলাম খানের বাড়িতে ছাত্রশিবিরের অফিসে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন সভা করছে। তারা নবাবগঞ্জ উপজেলার সরকারি স্থাপনায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলা করার পরিকল্পনা করছে। এই মর্মে গোপন সংবাদ পেয়ে থানার ওসি মো. শাহ জালালের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানকালে ৬ জনকে ধরতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রশিবিরের অফিস থেকে ৭টি পেট্রলবোমা, ৩টি লোহার শাবল, ২৫টি বাঁশের লাঠি, দুই বস্তা ইটের টুকরো, ৯টি লোহার রড, দুইটি ল্যাপটপ, বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, পোস্টার, চাঁদার রশিদসহ জামায়াত-শিবির কর্মকাণ্ডের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, নবাবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টদের অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো. আশরাফুল ইসলাম, থানার ওসি মো. শাহ জালাল।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply