তানজিম ইসলাম:ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা খালপাড় এলাকায় আগুনে পুড়ে মো. শামীম নামে এক সৌদি আরব প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয় শামীমের। নিহত শামীম উপজেলার নারিশা খালপাড় এলাকার ইয়ানুছ বেপারীর ছেলে। ৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার শামীম ছুটিতে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন বলে জানায় তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শামীম ভালাবেসে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের নারিশা লঞ্চঘাট এলাকার ইসমাইল কারালের মেয়ে ফারজানা আক্তারকে। বিয়ের পর থেকেই ফারজানা অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতে থাকতো। সেখানে থাকাকালীন গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ফারজানা শামীমকে একতরফা তালাক দেয়। শামীমের পরিবারের লোকজন ফারজানাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। কিন্তু ফারজানার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো শামীমের। গত ৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার শামীম সৌদি আরর থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। এয়ারপোর্টে নেমে শামীম পরিবারের লোকজনের কাছে মালামাল পাঠিয়ে দিলেও ওইদিনই ফারজানার পছন্দমতো নতুন মোটরসাইকেল কিনে ফারজানাদের বাড়িতে যায় সে। এরপর ৯ ফেরুয়ারী রবিবার রাত ৯টার দিকে শামীম আগুনে দগ্ধ হয়েছে এমন সংবাদ শোনার পর শামীমের পরিবারের লোকজন ফারজানাদের বাড়ি থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীম গতকাল বুধাবার রাত ১০টার দিকে মারা যায়। ময়না তদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শামীমের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
শামীমের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন জানান, ফারজানাকে স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনতে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি ওদের বাড়িতে উঠে শামীম। দিনের বেলা আমাদের বাড়িতে আসলেও রাতের বেলা সে বাড়িতে থাকতো না। ফারজানার সাথে তার চাচাতো ভাই মাসুদ রানার সাথে পরকীয়ার সর্ম্পকের জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা জানায় সে। আমার ভাই মৃত্যুর আগে ভিডিও বার্তায় মৃত্যুর কারন সর্ম্পকে জানিয়ে গেছে। সেই ভিডিও সহ মোবাইলটি পুলিশ জব্দ করেছে। শাহাদাত হোসেন আরো জানায়, থানায় মামলা না নিলে প্রয়োজনে আমরা আদালতে গিয়ে মামলা করব।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফারজানার বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরে তালা দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেশীরা জানান শামীমের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্ব পরিবারে বাড়ি ছেড়েছেন ফারজানা। আরেক অভিযুক্ত মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন, ফারজানার বিয়ের পর থেকে আমার সাথে কারও যোগাযোগ নেই। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।
এ ব্যাপারে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, শামীমের পরিবারের লোকজন আসলে মামলা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply