ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩৮নং চর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষার জন্য সার্টিফিকেট ও পরিক্ষার ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এক হাজার টাকা করে। ফি না দিতে পেরে পরিক্ষা থেকে অনিশ্চিত হয়ে পরেছেন অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরা। মাহমুদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা ঐ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক পরিক্ষার্থী বলেন, আমার কাছে ক্লাস টিচার মনরঞ্জন চক্রবর্তী স্যার সার্টিফিকেট দিতে ও পরিক্ষার ফি বাবদ এক হাজার টাকা চেয়েছে। আমি এত টাকা কিভাবে দেব। আর টাকা না দিলে পরিক্ষাও দিতে দিবে পারবোনা।
আফসানা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমার বাবা দিন মজুররের কাজ করে। সংসারের খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তার উপর অতিরিক্ত ফি আমার জন্য খুবই কষ্টকর।
সরেজমিনে সোমবার (৬নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার হোসেনপুর বিদ্যালয়ে গেলে কথা হয় শ্রেণী শিক্ষক মনরঞ্জন চক্রবর্তীর সাথে। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি এমন টাকা নিচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, আমাদের ইআইএন নাম্বার না থাকায় মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষায় অংশ নিতে দেই। সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাছে আমাদের এক হাজার টাকা জমা দিতে হয়।
এ বিষয়ে মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ৬শ ৫০ টাকা করে নিয়েছি। কি কি খাতে এই টাকা নেয়া হলো এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি ও পরিক্ষার ফি বাবদ এ টাকা নেয়া হয়েছে। তবে তিনি কোন প্রকার রশিদ দেখাতে পারেননি। পরে সংবাদটি প্রচার করতে নিষেধ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম করে টাকা লুটপাট করে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা পারভিন বলেন, এভাবে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। যার এই ঘটনার সাথে জরিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন শিক্ষর্থী পরিক্ষা থেকে যেন বাদ না পরে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, এটি একটি বড় অপরাধ। যারা এই ঘটনার সাথে জরিত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply