ঢাকার দোহার উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মানদীতে রুই, কাতল, কালিবাউস ও বোয়াল মাছের ছোট পোনা ধরার অপরাধে ৯ জেলেকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান এ অর্থদণ্ড প্রদান করেন। অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- দোহার উপজেলার চর মাহমুুদপুর এলাকার লালু ফকিরের ছেলে মান্নান ফকির( ৪৪), ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাশন উপজেলার চরকল্যাণপুর গ্রামের শামছু মোল্লার ছেলে রমজান মোল্লা(২২), হোসেন খালাসীর ছেলে ইদ্রিস খালাসী(৫০), শেখ আইয়ুব এর ছেলে শেখ সজিব(২২), শেখ ইমানের ছেলে আনোয়ার(৩৬), শামীম খালাসীর ছেলে শাহ আলম(১৯), আলমগীর বেপারীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন(২৬), চর গোপালপুরের জসিম মোল্লার ছেলে তসলিম মোল্লা(২৫) ও সাজু মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা(২৪)।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দোহারের কুতুবপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এসআই জহিরুল ইসলাম তার টিম নিয়ে প্রতিদিনের মতো পদ্মানদীতে তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন সরকারি নিষেধাক্তা অমান্য করে পদ্মানদী থেকে জেলেরা মাছের পোনা ধরে দোহারের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। এসময় নৌ পুলিশ জেলেদের নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাদের নৌকা থেকে প্রায় ২০০ কেজি বিভিন্ন মাছের পোনা সহ ৯ জেলেকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত ৯ জেলেকে ৫ হাজার করে মোট ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া জব্দকৃত মাছ হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ৬ মাস রুই, কাতল, কালিবাউস, বোয়ালসহ দেশীয় ছোট পোনা মাছ ধরায় সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
Leave a Reply