ঢাকার দোহারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকারের সময় অন্যতম মূল হোতা মোহন (৪৬) মিয়াকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ। আটককৃত মোহন মিয়া উপজেলার মধুরচর গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার মেঘুলা পদ্মার পাড় থেকে মোহনকে হাতেনাতে আটক করেন সাইনপুকুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.সুমন হোসেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আটককৃত মোহন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুৃমে দোহারের পদ্মা নদীতে ইলিশ আহরন ও মজুদকরন এবং অর্ধশতাধিক ফড়িয়া জেলেদের নিয়ে রাতে নদীতে ইলিশ শিকারের গুরু এই মোহন। এছাড়াও তিনি এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময়ে জেলেদের নদীতে মাছ শিকারের প্রলুব্ধ করতে নিজেকে নেতা হিসেবে জাহির করেন। তিনি জেলেদের কাছ থেকে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের নামে রীতিমত চাঁদা আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, মোহন মিয়া প্রতিরাতে জেলেদের কাছ থেকে ১২’শ বাবদ আদায় করতো। জেলেদের শিকার করা ইলিশ মাছ পদ্মার চরে মাটি খুড়েঁ বড় গর্ত করে লবন ছিটিয়ে মাছ মজুদ করতেন। পরের দিন সুযোগ বুঝে তা বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করতেন।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, আটক মোহন মিয়া ইলিশের আহরনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তার ভাই,ভাতিজাসহ দোহারের পদ্মা নদীতে জেলেদের রাতে মাছ ধরতে এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে জনপ্রতি ১২ শ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে- এমন সংবাদে পুলিশ পাঠিয়ে মোহনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো.মামুন খানকে অবহিত করা হলে তার নির্দেশে তাকে আটক করা হয়।
Leave a Reply