ঢাকার দোহারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে স্বর্ণালংকার হারালো ৬ নারী। (৩সেপ্টেম্বর) রোববার হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। দোহার থানা পুলিশ চোর শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে তারা তাদের স্বর্ণালংকার হারিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপজেলার লটাখোলা গ্রামের রিনা আক্তারের আট আনা ওজনের চেইন, করম আলী মোড়ের হালিমনের সাড়ে আট আনা ওজনের চেইন, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের সামিরা বেগমের ১০ আনা ওজনের দুল ও চেইন, বিলাশপুর ইউনিয়নের কুতুবপুরের কমলা বেগমের সাড়ে আট আনা ওজনের চেইন ও পুষ্পখালীর শারমিন আক্তারের আট আনা ওজনের গলার চেইন খোয়া গেছে। অন্য এক নারী আগেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সরকারি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের বিশেষ করে মহিলাদের টার্গেট করে সক্রিয় রয়েছে এক শ্রেণীর ছিনতাই চক্র। এই চক্রটিই অনেকদিন যাবত চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে টার্গেট করে ছিনতাই করে আসছে।
ভুক্তভোগী নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের সামিরা বেগম জানান, তিনি তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সায়মনকে কোলে নিয়ে চিকিৎসকের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভিড়ের চাপে তার গলা থেকে চেইন ও কানের দুল নিয়ে যায় কে বা কারা। ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে গেলে তখন তিনি বিষয়টি টের পান।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন জানান, রোগীদের কাছ থেকে ইতোপূর্বেও তিনি এমন অভিযোগ পেয়েছেন। এরপর থেকেই গোটা হাসপাতাল এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দোহার থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে আগেও তিনি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালে স্থাপন করা সকল সিসি ক্যামেরার ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত অপরাধীদের আটক করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply