ঢাকার দোহারে গৃহবধূ শিখা আক্তার হত্যা মামলায় তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে শিখার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসে করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব জানান, শিখার স্বামী রুহুল আমিন, শ্বশুর মনোয়ার হোসেন, শাশুড়ি আছমা বেগম ও দেবর মারুফ খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার রায় থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শিখার। বিয়ে উপলক্ষে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে ওই বছরের ৩ অগাস্ট তিনি শ্বশুরবাড়িতে যান। কিন্তু সেসব জিনিসপত্র দেখে পছন্দ না হওয়ায় শিখার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনঃক্ষুণ্ন হয়।
তিনদিন পর ৬ অগাস্ট শিখাকে তারা বাবা দেখতে গেলে শাশুড়ি আছমা বেগম জানান, ছেলের বউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পরে সেদিন বিকালেই বাড়ির পাশে পুকুরে শিখার লাশ পাওয়া যায়। পানির নিচে কলসির সঙ্গে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল লাশ।
ঘটনার দিনই শিখার মা দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দোহার থানার পরিদর্শক ইয়াসিন মুন্সী। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিচার শুরু হয়। ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষে রায় দিলেন বিচারক।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply