ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা এলাকায় ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, কাপড়ের রঙ ও আঠা দিয়ে তৈরি হচ্ছে টমেটো সস্। ফলে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
সরজমিনে শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুরহাব মন্ডলের বাড়ি ভাড়া নিয়ে একই ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন এই সস্ তৈরির অবৈধ কারখানা। যা বাজারজাত করা হচ্ছে দোহার-নবাবগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায়। বাজারজাতের ফলে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে খাবারের সাথে এই সস্ খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পরছেন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বাহিরে তালা দিয়ে ঘরের ভেতরে কারখানায় সস্ তৈরি করা হয় সেখানে।
কারখানার মালিক মোক্তার হোসেনকে পাওয়া না গেলেও কারখানার দায়িত্বে থাকা তোফাজ্জল শরিফ নামে এক ব্যক্তি জানান তিনি মোক্তার হোসেনের কথামত এই কেমিক্যাল দিয়ে ক্ষতিকারক সস্ তৈরি করছেন তিনি।
বাজারজাতকৃত সস্রে বোতলের স্টিকারে বিএসটিআইয়ের লগো ও নারায়নগঞ্জের ঠিকানা ব্যবহার করে বাজারজাত করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান এভাবে ক্ষতিকর কাপড়েরর রং দিয়ে তৈরি সস্ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন অনেকেই। তারা এর প্রতিকার চান।
এ বিষয়ে জানতে মোক্তার হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ঢাকা আছেন বলে ফোন বন্ধ করে দেন। দ্রুত অবৈধ এই কারখানা বন্ধ করে এর মালিক মোক্তার হোসেনকে আইনের অওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশে^র আলম বলেন, জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন সব কারখানায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউ ভেজাল পণ্য তৈরি করলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply