শওকত আলী রতন: মানুষের মাঝে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার প্রভাব পড়েছে কৃষি কাজে। সম্প্রতি নদীর চরাঞ্চল এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপ ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে কৃষকের মাঝে আতঙ্ক বেড়েছে। ঢাকার দোহার উপজেলার অবস্থান ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জ জেলার মাঝে। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পদ্মা নদীর তীরবর্তী। ধোয়াইর, বাহ্রা, অরঙ্গাবাদ, চরপুরলিয়া, জামালচর, মাহমুদপুর, বিলাশপুর, মাহমুদপুর, মধুরচর, নারিশাসহ রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের নদীর কুলঘেষেই।গত এক সপ্তাহে বাহ্রাঘাট ও বিলাশপুর এলাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার ধরা পড়ার পর থেকে অন্য পেশাজীবী মানুষের তুলনায় কৃষক ও জেলে পরিবারের মধ্যে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।র্ষা ঋতুতে সাপের আনাগোনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ঝোপঝাড় কমে যাওয়ায় লোকালয়ে ও কৃষি জমিতে সাপের বিচরণ নজরে এসেছে কয়েক বছর ধরেই। প্রতিবছরই এ সময়ে আমাদের দেশের বিষধর সাপ ধরা পড়ে। কিন্তু এ বছর রাসেলস ভাইপার সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার খবরে আতঙ্কিত সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও চলছে এ নিয়ে আলোচনা।
উপজেলার জামালচর এলাকার কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে গরুর জন্য ঘাস আনতে হয়। লোকমুখে শুনছি, রাসেল ভাইপার নামের একটি সাপ নাকি খুবই বিষধর। যার ফলে ভয় নিয়ে ঘাস কাটতে হয়।’লক্ষীপ্রসাদের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ‘ঘাস কাটা এখন অনিরাপদ মনে হচ্ছে। লাঠি নিয়ে চকে যাচ্ছি তারপরও ভয়ভীতি কাজ করছে।’দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম বলেন, ‘সবাইকে সচেতন হতে হবে। গুজব ছড়ানো যাবে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনোমের ব্যবস্থা রয়েছে। সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিতে হবে।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply