ঢাকার অদূরেই অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দযের অপরুপ লিলাভূমি মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাট। পদ্মানদীর বিশাল এ তীরটি মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত। মূলত এটি একটি যাত্রী পাড়াপাড়ের ঘাট। স্পীড বোট, লঞ্চ ও ট্রলারের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঢাকা থেকে পার্শ¦বর্তী ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলায় যাতায়াত করে থাকে। শুরুর দিকে প্রতিদিনই দর্শনার্থদের উপচে পড়া ভীড় থাকলেও ধীরে ধীরে দর্শনার্থী বিমুখ হয়ে পড়ছে দোহারের মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনট ঘাটটি। কারণ হিসেবে ঘাটটির চরম অব্যবস্থাপনা ও যত্রতত্র বালু ব্যবসায়ীদের ঘাটের পরিবেশ নষ্ট করাকেই দায়ী করছেন ঘাটের সাধারন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে (৮জুলাই) শনিবার দুপুরে দোহারের মৈনট ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে প্রবেশের শুরুতেই বেশ কয়েকটি বালুর স্তুপ। সেখান থেকে ভেকু দিয়ে ট্রাকে তোলা হচ্ছে বালু। বাতাসে বালু উড়তে থাকায় সেখান দিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। মৈনটের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় দর্শনার্থী প্রায় শূন্য।
কথা হয় স্থানীয় এক চটপটি দোকানদার কামাল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, মৈনট ঘাটে বিকেল থেকে লোকজন আসা শুরু করে। ঈদের সময় ছুটি থাকে তাই লোকজন বেশি আসে। এখন সবাই কর্মস্থলে থাকায় দর্শনার্থী কম। এবার ঈদে বৃষ্টির কারনে বেচাকিনি কম হয়েছে।
দুরন্ত কোন্ড স্টোরের পাচু মৃধা বলেন, বৃষ্টির কারনে লোকজন কম আসে এখন। যে সময়ে লোকজন বের হয়ে সে সময়ই বৃষ্টি আসে।
মোসাদ্দেক আলী নামের আরেক দোকানী জানান, আমি প্রায় ৫ বছর যাবত এই ঘাটে দোকান করি। আগের মতো এখন আর লোকজন আসে না, অনেক জায়গায় পিকনিক স্পষ্ট হয়েছে। তাই লোকজন কম আসে। বেচাকিনি ও তাই কম, ঈদে বৃষ্টির কারনে লোকজন কম এসেছে এবার।
শেখ ফরিদ বলেন, যত্রতত্র বালু ব্যবসার কারনে ঘাটের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। দর্শনার্থীরা ঘুরতে এসে বালুর কারনে বিপাকে পড়ে।
এছাড়াও প্রশ্ন রয়েছে ঘাটের নিরাপত্তা নিয়েও বিগত বছর গুলোতে মৈনট ঘাটে বেড়াতে এসে পদ্মায় গোসল করতে নেমে মারা গেছেন প্রায় ১৩ জন। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ নানা পেশার লোকজন।
স্থানীরা বলছেন, ঘাটে দর্শনার্থী টানতে হলে প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগ ও প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং।
এ বিষয়ে দোহার ফায়ার ষ্টেশনের ডউিটি ফায়ার ফাইটার মো. সাগর বলেন, প্রতি শনি ও রবিবার আমাদের জনসংযোগ ও মহড়া থাকে। আমরা মাঝে মধ্যেই মৈনট ঘাটে দর্শনার্থীদেরকে নানা রক সতর্কতামূলক বার্তা দেই।
এ ব্যাপারে জানতে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশে^র আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য নেই।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply