রিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক পাকাকরন নির্মান কাজের বিড়ম্বনায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে চলেছেন ভুক্তভোগীরা।
নির্মানাধীন রাস্তাটি ছিল দশ বছরের পুরোনো ইটের রাস্তা। প্রায় তিন মাস আগে রাস্তা পাকাকরনের জন্য ইটগুলো উপড়ে ফেলাসহ রাস্তাটি কেটে গর্ত করে ফেলে রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। প্রায় দুই কি.মি. আয়তনের ওই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন হাজার হজার গ্রামবাসী। চলতি বর্ষা মৌসুমে দফায় দফায় বৃষ্টি পানি জমে ওই কাটা রাস্তায় কাঁদামাটির সৃষ্টি হচ্ছে। আর এ কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে দুর্ভোগ শিকার করে যাতায়াত করে চলেছেন সাধারনরা।
জানা যায়, উপজেলা সদরে পাইলট হাই স্কুল রোডের চার রাস্তার মোড় এলাকা থেকে প্রায় দুই কি.মি. উত্তর দিয়ে পদ্মা নদীর পাড় পর্যন্ত বালিয় ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক বিস্তৃত। প্রায় তিন মাস আগে উপজেরা প্রকৌশল বিভাগ থেকে ওই সড়কের ১৭২০ মিটার রাস্তা পাকাকরনের কাজটি পান ফরিদপুর জলো শহরের ‘জেভি কনস্ট্রাশন’ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ কাজের চুক্তিমূল্য ১,৩৯,৩৩,২৮৯ টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতষ্ঠান রাস্তাটি কেটে ফেলে রাখার পর নির্মান কাজের অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ভুক্তভোগী ওই গ্রামবাসীর মধ্যে চরভদ্রাসন হাট/বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর মোল্যা জানান, “রাস্তাটি কেটে ফেলে রাখার ফলে বৃষ্টি বাদলে এমন অবস্থা হয়েছে যে, গ্রামের একটি রুগীও আর হাসপাতালে নেওয়ার উপায় নাই।
তিনি আরও জানান, কাটা রাস্তার বিভিন্ন স্তানে অত্যান্ত নিম্নমানের ভরাট বালু আর অল্পকিছু ক্ষোয়া মিশিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ভারী বৃষ্টিতে রাস্তার অনেক ষ্পট ভেঙে রয়েছে”।
আরেক গ্রামবাসী ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ (৫০) বলেন, “রাস্তাটি খনন করে ফেলে রাখার কারণে মোটর সাইকেল আরোহীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তিনি নিজেও দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জখম হয়েছেন বলেও জানান”।
ভুক্তভোগী আরেক চা ব্যাবসায়ী আইয়ুব শিকদার জানায়, “খননকৃত রাস্তার গর্তটি নিম্নমানের বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। সাথে অল্প কিছু ক্ষোয়া বিছিয়ে সমান করা হচ্ছে। অচিরেই নির্মানাধীন রাস্তাটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান”।
বেড়িবাঁধ সড়কের ওপর বসবাসকারী ফালানী আক্তার (৪৮) বলেন, “রাস্তাটি অত্যন্ত ধীরগতিতে নির্মান করা হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস আগে ঘরের পাশে রাস্তার অল্পকিছু জায়গায় লেবাররা বালু আর ক্ষোয়ার মিশ্রন ফেলে রেখে গেছে আর আসে নাই। ফলে বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় চলাচল আরো বেশী বিঘ্ন ঘটছে”।
রাস্তা নির্মানের তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডি’র উপণ্ডপ্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন জানান, “ওই রাস্তা নির্মানকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমি সহ উপজেলা প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বার বার তাগিত দিচ্ছেন। তিনি নিজেও ওই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তাগাদা দেওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শীগ্রই দ্রুত গতিতে রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন”।
Leave a Reply