গতকালই বসেছেন বিয়ের পিরিতে, আজ ছিলো বৌ ভাত, বাড়িতে ছিলো উৎসবের আমেজ, বৌ ভাত অনুষ্ঠানে কিছু মালপত্র আনতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর ফিরতে পারেননি বাড়ি। ঘাতক মাহেন্দ্র গাড়ির কেড়ে নেয় অর্কপ্রিয় হোসেন অংশুমান (২৫) নামে এক নববিবাহিত যুবকের প্রান।
নিজে চালিয়ে মোটরসাইকেল টি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে নিজ বাড়ী পৌছার সামান্য আগে পাশের গ্রাম বাঘাশুর এলাকায় একটি মাহেন্দ্রের সাথে মুখামুখি সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হয় অর্ক। পরে স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অর্ক কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ইউনিয়নের কাঁচা এলাকার নাসিম হোসেন অপুর ছেলে এবং ভাষা সৈনিক এমদাদ হোসেনের নাতী।
দুর্ঘটনার পর অর্ককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু রাহাত বলেন, গতকাল শুক্রবার অংশুমান বিয়ে করেছিল। আজ শনিবার তাঁর নিজ বাসভবনে বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। ওই অনুষ্ঠানের কিছু মালপত্র কেনার জন্য সে নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা তিনটার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার বাঘাসুর খান বাড়ির মেইন রোডে পৌছলে বিপরিত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মাহেন্দ্র গাড়ির সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
আমিসহ আশপাশের লোকজন তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) একই এলাকার প্রবাসী আমির হোসেবে মেয়ে আফরিনের সাথে বিয়ে হয় অর্কর। বিয়ের আনন্দ বিষাদে রুপ নেওয়া এলাকায় এখন শোকে ছায়া। পরিবারের লোকজনের কান্নায় ভারি হয়ে উঠে আকাশ বাতাশ। এলাকাবাসীর আফসোস কিভাবে কাটবে পরিবারের শোক, সদ্য বিবাহিত আফরিনইবা কিভাবে ভুলবে এ করুন পরিনতি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ জামান জানান, ঘাতক মাহেন্দটি কে আটক রাখা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply