কালকিনিতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চার মাদ্রাসা ছাত্র আহত হওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে এক ছাত্রের আঙুল এবং অন্য এক ছাত্রর হাত জখম হয়েছে।উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাশেরহাট বন্দরের খাশেরহাট নূরানীয়া হাফিজিয়া এতিম খানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও একই গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় সৃষ্টি হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ইউএনও এবং থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে মাদ্রাসার ছাদে ছাত্ররা খেলা করছিল। এ সময় একটি মুখপোড়া হনুমান এসে ওই ছাদের ওপর বসে। এ সময় ছাত্ররা হনুমানকে বেশ কিছু ঢিল ছুড়ে মারে। এ ঢিল ছোড়ার ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দেওয়া হয়। পরে ওই প্রধান শিক্ষক তাদের বকাঝকা শেষে আসরের নামাজ পড়তে চলে যান। এরপর মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ তোফায়েল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘটনার জেরে চার শিক্ষার্থী আবির হোসেন, সাব্বির আহম্মেদ, সাইম প্যাদা ও জোবায়েরকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এরপর আহতরা চিৎকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি, কিলঘুসি দিয়ে জখম করেন।অভিযুক্ত শিক্ষক তোফায়েল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ও তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। এর পরপর শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply