মাদারীপুরে কালকিনিতে গোপনে বিক্রি করা আলিফ নামে ২ মাস বয়সের এক শিশুকে উদ্ধার শেষে অসহায় মায়ের কোলে ফিরেয়ে দিয়েছে থানা পুলিশ। তিন দিন আগে গোপনে ওই শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছিল তার বাবা ও দাদি। মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
শিশু আলিফ পৌর এলাকার চরঠেঙ্গামারা গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা আলী আজগরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু আলিফের মা কাজল বেগম গত তিন দিন আগে আলিফকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে বাহিরে যান। এ সুযোগে আলিফের বাবা ও তার দাদি পারুল বেগম মিলে আলিফকে গোপনে এক অজানা স্থানে নিয়ে যায়। পরে তারা আলিফকে নাজমা বেগম নামে এক দালালের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলার কালিকাপুর গ্রামের রতন হাওলাদারের ছেলে জামাল হোসেনের কাছে গোপনে ১ লাখ টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেন। পরে বিক্রীত ওই এক লাখ টাকা দালাল নাজমা বেগম ও শিশুর বাবা আজগর আলী মিলে ৫০ হাজার টাকা করে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
এদিকে শিশু আলিফকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা কাজল বেগম দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে ওই শিশুর মা কাজল বেগম কালকিনি থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। পুলিশ দ্রুত মাদারীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে শিশু আলিফকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরেয়ে দেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযুক্ত পারুল বেগম, জামাল হোসেন ও দালাল নাজমা বেগমকে থানায় নিয়ে আসে।
শিশুর মা কাজল বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি আগে ধন্যবাদ দেব থানা পুলিকে, তারা আমার বুকের ধনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে গোপনে আমার সন্তান বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নবজাতকের বাবা আজগর আলীকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান হাওলাদার জানান, ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশের ঘটনা। কত বড় পাষাণ হলে একজন বাবা ২ মাসের শিশুকে বিক্রি করে দিতে পারে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক তৌহিদ হোসেন জানান, বড় বিষয় হলো আমরা শিশু আলিফকে উদ্ধার শেষে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply